আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যে সময়টিতে এতো দিনের স্বপ্ন বাস্তব হয়ে দেখা দেবে। মানুষ পার হবে দেশের টাকায় তৈরি পদ্মা সেতু দিয়ে। আর সেটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতেই নিহত হয়েছেন সাংবাদিক শিরিন: জাতিসংঘ

বন্ধুদের সাথে ঘুরতে এসে, বাড়ি ফেরা হলো না অপর এক বন্ধুর

দিনটি ঘিরে আয়োজন করা হয়েছে জনসভা ও জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় উদ্বোধন করা হবে সেতু, চলবে জনসভা। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে জেলায়-উপজেলায় নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।

এদিকে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ট্রাফিক। পদ্মা সেতু উদ্বোধন ঘিরে রঙ-বেরঙয়ের ব্যানার ফেস্টুনে ভরে গেছে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে সেতু এলাকা পর্যন্ত। মানুষ এখন উদ্বোধনের ক্ষণ গুণছে। এরইমধ্যে সেতুর মূল ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে সেতুটি বুঝিয়ে দিয়েছে।

৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু আজ সকালে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন।

সেখানে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচনের পর টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে জাজিরা প্রান্তে যাবেন। সেখানেও পদ্মা সেতুর নাম ফলক উন্মোচন করবেন তিনি। পরে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ির জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প’ রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। প্রকল্পটির অবস্থান মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায়। আর সেতুটির উত্তরে রয়েছে মাওয়া, লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ এবং দক্ষিণে জাজিরা, শরীয়তপুর, শিবচর ও মাদারীপুর।

২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর মূল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর মোট নির্মাণ ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। সেতুটি নির্মাণ করেছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। মূল সেতুতে কংক্রিট ও স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। এতে পিলার রয়েছে মোট ৪২টি, স্প্যান ৪১টি ও বাতি রয়েছে ৪১৫টি।